রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০০৮

পর্দা এবং বোরখা ! -1

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ হলেও নারীর জন্য আলেম -উলামাগন আর কিছু বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই বাড়িয়ে দেয়ার অন্যতম হচ্ছে “পর্দা”। আর এই পর্দা বলতে আল্লাহর বলে দেয়া পর্দা নয়, মহামান্য আলিম ওলামাগনের ফতোয়া দেয়া পর্দা।
আসুন দেখি মহান আল্লাহ কি বলেছেন আর তিঁনারা কি বানিয়েছেন।

পর্দা/হিজাব সম্পর্কে কোরআন:

وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেনো তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অন্ঙের হেফাযত করে। তারা যেনো যা সাধারনত: প্রকাশ মান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে এবং তারা যেনো তাদের মাথার উড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেনো তাদের স্বামী, পিতা, শশুর, পু্ত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতু্স্পুত্র, ভগ্নি পুত্র, স্ত্রিলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অন্ঙ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতিত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেনো তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারনা না করে। মুমুংন, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।”

সুরা আন-নুর, আয়াত-৩১
(http://www.quraanshareef.org/index.php?sid=24&&ano=64&&st=30&&arabic=) থেকে অনুবাদটি নেয়া।

কোরআনে “খিমার” শব্দটি ব্যব হার করা হয়েছে । এই আরবি শব্দটির অর্থ কাভার বা ঢাকনা”
কোন কিছু ঢাকতে যা ব্যব হার করা হয়। সে ক্ষেত্রে টেবিল ক্লথ, জানালার পর্দা, চাদর, ওড়না, পোশাক যেকোন কিছু হতে পারে।

আয়াতটির মধ্যে আরো একটি শব্দ হচ্ছে “ جُيُوبِهِنَّ” শাব্দিক অর্থ হচ্চে “জামার কলার”

এখন যদি “খিমার অর্থ “ওড়না” এবং جُيُوبِ”هِنَّ অর্থ “জামার কলার” ধরি, তবে,

আরবি আয়াত ” وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ” এর শাব্দিক অর্থ হবে
তারা যেনো জামার কলারের উপর উড়না ফেলে রাখে”

তাহলে প্রশ্ন আসে বাংলা অনুবাদ কারি এই আয়াতের অনুবাদ “তারা যেনো মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে” করলেন কেনো?

রুহুল মা’য়ানী অনুযায়ী–

সেই যুগের মেয়েরা ওড়না মাথায় দিয়ে পিঠের দিকে ওড়নার দুই প্রান্ত পিঠের দিকে ফেলে রাখতো, তাতে করে বুক, গলা, কান ইত্যাদি দেখা যেতো।
তাই কোরআনে তাদের মাথার ওড়না জামার কলারের উপর ফেলতে বলা হয়েছে এবং এতে করে ওড়না বুকের উপরেই পরবে।

তাই মনে হয় বাংলা অনুবাদ কারি শাব্দিক অনুবাদ না করে একটু বিশ্লেষন করে অনুবাদ করেছেন (এই অনুবাদের লিটারেরি টার্ম আমার জানা নেই) ।
অনেক টা পারিভাষিক সংগা দিয়েছেন ।

এই অনুবাদ দেখে আমি ভয় পেয়ে গেছি। কারন শাব্দিক ভাবে অনুবাদ না করা মানে আমরা অনেক কিছু অন্যরকম ভাবে জানছি।

যাকগে, পর্দার কথা বলছিলাম।

রুহুল মা’য়ানীর ব্যখ্যাকে যদি না মানি তবে বলতে পারি কোরআনে কেবল
“বুক” ঢাকার কথা বলা হয়েছে মাথা বা চুল নয়। কারন আয়াতে شعر বা رأس´ব্যব হার করা হয়নি। ওড়না কেবল জামার কলার এর উপর অর্থাৎ বুকের উপর রাখতে বলা হয়েছে।

রহুল মা’আনীর ব্যখ্যা মেনে নিলে দারায় যে মাথা, বুক ঢাকতে বলা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: